Ended soon
পবিত্র রমজান মাসে হঠাৎ করেই খাদ্যাভ্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। এ পরিবর্তন হঠাৎ করে মানিয়ে নেওয়া যে কারও কাছেই একটু কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু পুষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে সঠিক ভাবে একটি খাদ্য তালিকা ও পরকিল্পনা তৈরি করলে শরীরও মন দুটিই ভালো রাখা যায়।
এক. সেহরির সময় ফজরের আজানের ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে খাওয়া অভ্যাস করুন। এতে করে খাওয়ার পর ফজরের নামাজটাও পড়া হবে পাশাপাশি নামাজ পড়ার কারনে শারীরিক যে ব্যায়াম হবে এতে খাবার হজমের অনেকখানি সাহায্য করবে।
দুই. পরিমিত খাদ্যের তালিকা অনুসরণ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। র্শকরা ও প্রোটনিসমৃদ্ধ খাবার, আঁশ জাতীয় সবজি, ফল খেতে হবে যাতে করে সারাদিনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
তিন. সেহরি বা ইফতারের পর পেট ভরে পানি পান করা যাবে না। খাবারের সময় বেশি পানি পান করলে খাবার সহজে হজম হয় না এতে করে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
চার. রোজা রেখে যতটা গরম এড়িয়ে চলা যায় চেষ্টা করুন, এতে করে শারীরিক ক্লান্তের ছাপ অনেকটা কমে আসবে এবং যে কোনো কাজ মনোযোগ দিয়ে করতে পারবেন।
পাঁচ. রমজানের সময় আরকেটি বিষয় বেশ লক্ষনীয়। সারা দিনে রোজা রাখার ফলে শরীর পরশ্রিান্ত এবং পরিশুদ্ধও হয়। ফলে ছোটখাটো রোগব্যাধি থাকলে তা অনেকটা কমে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের সময় অনকেইে ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার দিয়ে ইফতার শুরু করি যা মোটেও ঠিক নয়। শরীর সুস্থ রাখতে হলে ফল, খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার শুরু করুন। এতে পাকস্থলী সুস্থ থাকবে।
ছয়. সন্ধ্যায় ক্যাফইেন জাতীয় কোনো পানীয় র্অথাৎ চা, কফি বা সোডা জাতীয় পানীয় বা কোল্ড ড্রিংস যেমন কোক, পেপসি ইত্যাদি পান করবনে না। বরং বেশি করে পানি পান করুন। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগেও বেশি করে পানি পানরে অভ্যাস করুন।
সাত. রোজার সময় প্রতদিনি সন্ধ্যার দিকে নিয়মিত ১৫-২০ মনিটি হাটার অভ্যাস করুন, এতে করে পেটে বদহজম থেকে রেহাই পাবেন।
আট. মাসে অন্তত একবার শারীরি চেকআপ ও বিভিন্ন বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। এতে করে বড় ধরনের রোগবালাই প্রতিরোধ করতে পারবেন।
নয়. দিনে দু’বার নির্দিষ্ট সময়ে দাঁতে ব্রাশ ও ফ্লস ব্যবহার করতে পারনে। এতে কোনো খাদ্যকণা দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকলে তা বের হয়ে যাবে ও মাড়ি সুস্থ্য থাকবে।
দশ. নিয়মিত হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। এতে ভাইরাস জনিত রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।