জমিদার হাছন
রাজার জন্ম 1854 সালে এবং মৃত্যু ১৯২১ খ্রিঃ। হাছন
রাজার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান, যা সিলেটের সুনামগঞ্জ সদরের অন্তর্গত। এটি সুনামগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৫৪ সালে এই বাড়িতেই জমিদার দেওয়ান হাছন রাজা চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। এটি সুনামগঞ্জ শহরের ‘০’ পয়েন্টের ১ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। সুনামগঞ্জ পৌরসভা এলাকার তেঘরিয়ায় সুরমা নদীর কুল ঘেষে দাড়িয়ে আছে হাছন
রাজার স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়ীটি। এ বাড়িটি একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান।|
মরমী সাধক হাসন রাজা তার জীবনের অধিকাংশ সময়ই এখানে কাটিয়েছেন। এটি বর্তমানে "হাছন রাজা মিউজিয়াম" হিসাবে পরিবর্তিত হয়েছে। হাসন রাজা মূলত ছিলেন একজন সম্মান্ত জমিদার। মরমী সাধক
হাছন
রাজা জীবনে অসংখ্য গান রচনা করে আজ অবধি লোক প্রিয়তার শীর্ষ অবস্থান করেছেন।
কাল-উত্তীর্ণ এ সাধকের ব্যবহৃত কুর্তা, খড়ম, তরবারি, পাগড়ি, ঢাল, থালা, বই ও নিজের হাতের লেখা কবিতার ও গানের পান্ডুলিপি আজও বহু দর্শনার্থীদের আবেগ আপ্লুত করে। এই মরমী কবির রচিত গানে মুগ্ধ হয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাসন রাজাকে পত্র মাধ্যমে অভিনন্দন ও প্রশংসা জানিয়েছিলেন। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকাধীন জাগীর দরগা নামক পারিবারিক কবরস্থানে প্রিয়তম মায়ের কবরের পাশে চিরনদ্রায় শুয়ে আছেন মরমী কবি হাছন
রাজা। হাছন
রাজার মাজার দেখার জন্য প্রতি বৎসর বহু দর্শনার্থীর সমাগম হয় ।
হাছন রাজা মিউজিয়াম
যেভাবে যাবেনঃ সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকা থেকে গাড়ি যোগে কয়েক মিনিটে গন্তব্য স্থানে পৌছা যায়। সুনামগঞ্জ থকেে রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা অতি সহজইে সাহেববাজার ঘাট সন্নিকটস্ত হাসন রাজার বাড়িতে আসা যায়। সুনামগঞ্জ মূল বাস স্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার ঘাটের নিকটস্ত বাড়িটিতে আসার জন্য ভাড়া হবে রিক্সায় ১০ থেকে ২০ টাকা এবং সি এন জি তে ৫০ থেকে ৮০ টাকা।
যা কিছু দেখতে পাবেন: বর্তমানে বাড়ীটীতে বাদক যন্ত্র থাকে হাছন
রাজার জমিদারি ম্যাপ – সকল কছিু আছে সংগ্রহ! আছে রাজার ব্যবহৃত র্কুতা, খড়ম, তরবার, পাগড়ি,ঢাল, থালা, বই ও নিজের হাতের লাখো কবিতার ও গানের পাণ্ডুলিপিসহ ব্যবহার্য্য জিনিশপত্র। ঘরের এবং ঘরের বাইরের সব সংগ্রহ পাশাপাশি স্থান পেয়েছে বিশিষ্টিজনের সঙ্গে রাজার সাক্ষাৎ ও দর্শনার্থীদের ভ্রমনের বিশেষ কিছু ছবি।
- রাজার ঘড়িঘর ও সংলগ্ন এলাকা;
- সুরমা নদীতে নৌ-ভ্রমণ;
- আব্দুজ জহুর ব্রীজ।
সংলগ্ন দর্শনীয় এলাকাসমূহ:
- সুনামগঞ্জ ঐতিহাসিক জাদুঘর
- সরকারি জুবলি স্কুল
- রিভারভিউ র্পযটন কেন্দ্র
- গৌরারাং জমিদার বাড়ি
খাওয়া দাওয়া: বাড়িটির আশেপাশেই প্রচুর হোটেল – রেস্তোরা আছে খাওয়া – দাওয়া করার জন্য। স্থানীয় পর্যায়ের বিখ্যাত খাদ্য হলো আথনী পোলাও ও সাতকরা (হাতকরা)। এছাড়াও স্থানীয় আনারস, কমলা, পান, লেবু এবং কাঠালের দারুণ সুখ্যাতি রয়েছে। আরও রয়েছে চা-পাতা। হাওড় এলাকায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এবং খামার ভিত্তিক হাঁস পালন করা হয়। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে এসকল দ্রব্যাদির তৈরি সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়।
থাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান: সুনামগঞ্জে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু মানসম্মত রেস্ট হাউস ও মোটামুটি মানের হোটেল রয়েছে, যেখানে ৪০০ থেকে ২,০০০ টাকায় বিভিন্ন ধরণের রুম পাওয়া যায়। এসব হোটেলের মধ্যে রয়েছে –
হোটেল নূর: পূর্ববাজার, স্টেশন রোড, সুনামগঞ্জ, ☎ ০৮৭১-৫৫২২৫, মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-৬৩০ ৮৮৭;
হোটেল সারপিনিয়া: জগন্নাথবাড়ী রোড, সুনামগঞ্জ, ☎ ০৮৭১-৫৫২৭৮;
হোটেল নূরানী: পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন রোড, সুনামগঞ্জ, ☎ ০৮৭১-৫৫৩৪৬, মোবাইল: ০১১৯৬-১৪২ ৯৩৯;
হোটেল মিজান: পূর্ববাজার, স্টেশন রোড, সুনামগঞ্জ, ☎ ০৮৭১-৫৫৬৪০।